রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে

 

 


হযরত উম্মে সালামা (রা) থেকে বর্ণিত ,
             রাসূলুল্লাহ (স) বললেন,
 যে ব্যক্তির কাছে  কুরবানীর জন্তু রয়েছে এবং যে কুরবানী করতে মনস্থ করেছে যিলহজ্ব মাসের চাঁদ  দেখা দিলে কুরবানী না করা পর্যন্ত সে যেন নিজের চুল ও নখ না কাটে। (মুসলিম)

                বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম


সকল প্রশংসা আল্লাহ্‌ তা’আলার জন্য এবং সালাম ও আল্লাহর রহমত বর্ষিত হোক প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ  (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর উপর।

আমরা যারা নিয়মিত সালাত আদায় করার চেষ্টা  করি, আমাদের সবগুলো সালাত ঠিক থাকলেও ‘ফজরের সালাত’ নিয়ে কিছুটা সমস্যায়  পড়তে হয়। অনেকেই অনেক চেষ্টা করেও পারি না ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠতে। কীভাবে করা যায় এ সমস্যার সমাধান? আমি শুধু দু’ একদিনের কথা বলছি না, বলছি  প্রতিদিনকার কথা। আসুন জেনে নেই এ ব্যাপারে কিছু কার্যকরী কৌশল।

 প্রিয় ভাই ও বোনেরা, 

                     রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে

 

  •  মহান আল্লাহ বলেনঃ হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সত্যনিষ্ঠ লোকদের সাথে থাকো। (সূরা তওবাঃ ১১৯)


  • মহান আল্লাহ আরো বলেনঃ সত্যনিষ্ঠ পুরুষ ও নারীগণ! ......... আল্লাহ তাদের জন্য মার্জনা ও বিরাট পুরস্কার তৈরি করে রেখেছেন।            (সূরা আহযাবঃ ৩৫)

  • মহান আল্লাহ আরো বলেনঃ তারা যদি আল্লাহর নিকট অঙ্গীকারে সত্যতার প্রমাণ দিতো, তাহলে তাদের জন্য কতই না ভাল হতো! (সূরা মুহাম্মাদঃ ২১)

 হযরত ইবনে মাসউদ (রা) রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেনঃ



 
ভিডিও সমূহ
ঈমান ও আকীদা বিষয়ক
তাওহীদের গুরুত্ব
IMPORTANCE OF TAWHID
ডাউনলোড (১৫০ মে.বা.)
Download (150 MB)
 
তাওহীদ ও শিরক
TAWHID & SHIRK
ডাউনলোড (১৮৩ মে.বা.)
Download (183 MB)
 
আল্লাহ কোথায়?
WHERE IS ALLAH?
ডাউনলোড (১৪১ মে.বা.)
Download (141 MB)
 

                                রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে

 

হাবীবুল্লাহ মুহাম্মাদ ইকবাল |  সম্পাদনা : ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া

আল্লাহ তা‘আলা মানব জীবনকে সন্তান-সন্তুতির মাধ্যমে ভারসাম্যপূর্ণ এবং আকর্ষণীয় করেছেন। পারিবারিক জীবনে সন্তান-সন্ততি কতবড় নিয়ামত তা যার সন্তান হয়নি তিনি সবচেয়ে বেশি উপলব্ধি করে থাকেন। যাদেরকে আল্লাহ রাববুল আলামীন সন্তান দান করেছেন তাদের উপর এক মহান দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে। পিতা-মাতার জন্য সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা হবে যদি সন্তানকে আদর্শবান রূপে গড়ে না তুলতে পারেন। কেননা আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

             বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

 


লিখেছেনঃ আব্দুর রাকীব (মাদানী)।   ওয়েব সম্পাদনাঃ মোঃ মাহমুদ -- গাফফার
আল্ হামদুলিল্লাহ্ ওয়াস্ সালাতু ওয়াস্ সালামু আলা রাসূলিল্লাহ, আম্মা বাদ:>>>>>

আমরা আল্লাহর বান্দা। এটি সবার জানা। কিন্তু বান্দা শব্দটির সম্পর্কে কি আমরা কখনো চিন্তা-ভাবনা করেছি, যে এই শব্দটির মর্মার্থ কি? এর দ্বারা কি বুঝায়? বান্দা ফারসী শব্দ যার আরবী হচ্ছে ‘আব্দ’ অর্থাৎ দাস। তাই আমরা সকলে ইবাদুল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহর বান্দা সকল। বান্দা বা দাসের কাজ হচ্ছে তার মালিকের দাসত্ব করা, গোলামী করা। মালিকের নিকট সেই দাসই সর্ব্বোৎকৃষ্ট, যে তার মালিকের সত্যিকারার্থে দাসত্ব করে, গোলামী করে। কিন্তু তাঁর অনেক বান্দা এমনও আছে যারা আল্লাহর দাসত্ব করে না, করতেও চায়না । দাসত্ব করা যে বান্দাদের কর্তব্য তা বিশ্বাস করে না। অথচ

             রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-

লেখকঃ হাবিবুল্লাহ মুহাম্মাদ ইকবাল | অনুবাদক : আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া

 

إن الحمد لله والصلاة والسلام على رسول الله وعلى آله وصحبه أجمعين، أما بعد



মা-বাবা ছোট শব্দ, কিন্তু এ দুটি শব্দের সাথে কত যে আদর, স্নেহ, ভালবাসা রয়েছে  তা পৃথিবীর কোন মাপযন্ত্র দিয়ে নির্ণয় করা যাবে না। মা-বাবা কত না কষ্ট করেছেন, না খেয়ে থেকেছেন, অনেক সময় ভাল পোষাকও পরিধান করতে পারেন নি, কত না সময় বসে থাকতেন সন্তানের অপেক্ষায়। সেই মা বাবা

রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে- 
 
 
লেখক: আব্দুর রাকীব (মাদানী)  | ওয়েব সম্পাদনাঃ মোঃ মাহমুদ -- গাফফার

নিয়তের অর্থঃ

নিয়ত আরবী শব্দ। এর বাংলা অর্থঃ ইচ্ছা করা, মনস্ত করা, এরাদা করা, সংকল্প করা। (মুনজিদ, ৮৪৯/ ফতহুল বারী, ১/১৭)
শব্দটি আমরা বাংলাভাষী লোকেরাও ব্যবহার করে থাকি। যেমন আমরা বলি: আমি এ বছর হজ্জ করার নিয়ত করেছি। অর্থাৎ ইচ্ছা করেছি মনস্থ করেছি।

নিয়তের গুরুত্বঃ

শরীয়তে নিয়তের গুরুত্ব অপরিসীম। ব্যক্তির আমল আল্লাহর নিকট গ্রহণীয় হয়না যতক্ষণে বান্দা তার নিয়ত সঠিক না করে নেয়। অর্থাৎ , আল্লাহর জন্যে তাঁর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে না করে নেয়। আল্লাহ বলেনঃ


রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-


 অনুবাদকঃ শাইখ মুহা: আবদুল্লাহ আল কাফী


আল্লাহ্ তাআলার উপর ভরসা ইসলামে একটি বিরাট বিষয়। এর গুরুত্ব ও মর্যাদা অপরিসীম। আল্লাহর প্রতি ভরসা ছাড়া কোন বান্দাই কোন মূহুর্ত অতিবাহিত করতে পারে না। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতও বটে। কেননা এর মাধ্যমে আল্লাহর তাওহীদের সাথে সম্পর্ক গাড় ও গভীর হয়। আল্লাহ্ বলেন:

وَتَوَكَّلْ عَلَى الْحَيِّ الَّذِي لَا يَمُوتُ


“আর ভরসা কর সেই জীবিত সত্বার (আল্লাহর) উপর, যিনি কখনো মৃত্যু বরণ করবেন না।” [সূরা ফুরক্বান-৫৮]

এই আয়াতে আল্লাহ্ তাআলা নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে তাঁর উপর ভরসা করার আদেশ করেছেন। তিনি ছাড়া অন্য কারো নিকট নিজেকে পেশ করবেন না। কেননা তিনি চিরঞ্জীব, তাঁর মৃত্যু নেই। তিনি পরাক্রমশালী, কোন কিছুই তাঁকে পরাজিত করতে পারে না। যে ব্যক্তিই তাঁর উপর নির্ভর করবে তার জন্য তিনিই যথেষ্ট হবেন- তাকে সাহায্য ও সমর্থন করবেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কারো উপর ভরসা করবে, সে তো এমন কিছুর উপর ভরসা করল যে মৃত্যু বরণ করবে, বিলীন ও ক্ষয় হয়ে যাবে। দুর্বলতা ও অপারগতা তাকে চারদিক থেকে ঘিরে রয়েছে। এ কারণে তার প্রতি ভরসা কারীর আবেদন বিনষ্ট হয়ে যায়, সে হয়ে যায় দিশেহারা।

এ থেকেই বুঝা যায় আল্লাহর উপর ভরসা করার ফযীলত ও মর্যাদা কি?! তাঁর সাথে হৃদয়ের সম্পর্ককে গভীর করার গুরুত্ব কতটুকু?!

                      রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-

লেখক- হুসাইন বিন সোহরাব
বিবাহ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিবাহ করা নবীগণের (আলাহিসসালাতু আসসালাম) সুন্নাত।

রাসুল(সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ

যে বাক্তি বিয়ে করার সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও বিয়ে করে না, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়। (দারিমী-কিতাবুন নিকাহ)

ইমাম রাগিব বলেনঃ

বিয়েকে দুর্গ বলা হয়েছে,কেননা(বিয়ে) স্বামী-স্ত্রী উভয়কে সকল প্রকার লজ্জাজনক কাজ থেকে দুর্গবাসীদের মতোয় বাচিয়ে রাখে। (মুফরাদাত)

তবে এই পবিত্র কর্ম পালন করতে গিয়ে মাঝে মাঝে কিছু কু-প্রথা মানা হয়।যা কিনা অনুচিত।আসুন নবীগণের(আলাহিসসালাতু আসসালাম)  এই সুন্নাত কে সুন্নাত তরীকায় পালন করি।

বিবাহে প্রচলিত কু-প্রথা: 

.চন্দ্র বর্ষের কোন মাসে বা কোন দিনে অথবা বর/কনের জন্ম তারিখে বা তাদের পূর্ব পুরুষের মৃত্যুর তারিখে বিবাহ শাদী হওয়া অথবা যে কোন শুভ সৎ কাজ করার জন্য ইসলামী শারী’য়াতে বা ইসলামী দিন তারিখের কোন বিধি নিষেধ নেয়। বরং উপরিউক্ত কাজগুলো বিশেষ কোন মাসে বা যে কোন দিনে করা যাবে না মনে করাই গুনাহ।

২.বিবাহ উৎসবে অথবা অন্য যে কোন উৎসবে পটকা-আতশবাজি ফুটান,অতিরিক্ত আলোকসজ্জা করা, রংবাজী করা বা রঙ দেওয়ার ছড়াছড়ি ইসলামের দৃষ্টিতে অবৈধ ও অপচয়।

আল্লাহু-তা’য়ালা বলেনঃ

إِنَّ الْمُبَذِّرِينَ كَانُوا إِخْوَانَ الشَّيَاطِينِ ۖ وَكَانَ الشَّيْطَانُ لِرَبِّهِ كَفُورًا 


“নিশ্চয় অপচয়কারী শয়তানের ভাই। আর শয়তান হচ্ছে তার প্রভুর প্রতি বড় অকৃতজ্ঞ।” (বানী ইসরাঈল-২৭)

৩.বাঁশের কুলায় চন্দন,মেহদি,হলুদ,কিছু ধান-দূর্বা ঘাস কিছু কলা, সিঁদুর ও মাটির চাটি নেওয়া হয়।মাটির চাটিতে তেল নিয়ে আগুন জ্বালানো হয়। স্ত্রী ও বরের কপালে তিনবার হলুদ লাগায় এমনকি মূর্তিপূজার ন্যায় কুলাতে রাখা আগুন জ্বালানো চাটি বর-কনের মুখের সামনে ধরা হয় ও আগুনের ধুঁয়া ও কুলা হেলিয়ে-দুলিয়ে বাতাস দেওয়া হয়। এসব হিন্দুয়ানী প্রথা ও অনৈসলামিক কাজ।

৪.বরের আত্মীয়রা কনেকে কোলে তুলে বাসর ঘর পর্যন্ত পৌছে দেওয়া অথবা বরের কোলে করে মুরুব্বীদের সামনে স্ত্রীর বাসর ঘরে গমনের নীতি একটি বেহায়াপনা, নিরলজ্জতা ও অনৈসলামিক কাজ।

৫.বরের ভাবী ও অন্য যুবতী মেয়েরা বরকে সমস্ত শরীরে হলুদ মাখিয়ে গোসল করিয়ে দেওয়া নির্লজ্জ কাজ যা ইসলাম সমর্থন করে না।

৬.বর ও কনেকে হলুদ বা গোসল করতে নিয়ে যাওয়ার সময় মাথার উপর বড় চাদর এর চার কোনা চার জনের ধরা হিন্দুয়ানী প্রথা।

৭.বিবাহ করতে যাওয়ার সময় বরকে পিড়িতে বসিয়ে বা সিল-পাটাই দাড় করিয়ে দই-ভাত খাওয়ান ইসলামিক প্রথা নয়।

৮.বিবাহ কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর বরকে দাড় করিয়ে সালাম দেওয়ানোর প্রথা রাসুল (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তার সাহাবীদের (রাযি আল্লাহু আনহুম) দ্বারা প্রমানিত নয়।

৯.বর ও কনের মুরুব্বীদের কদমবুসি করা একটি মারাত্মক কু-প্রথা। বিয়ে তো নয় এমনকি যে কোন সময় কদমবুসি করা রাসুল (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তার সাহাবীদের (রাযি আল্লাহু আনহুম) দ্বারা কোন কালে প্রমানিত নয়। কদমবুসি করার সময় সালাতের রুকু-সিজদার মত অবস্থা হয়। বেশি সম্মান প্রদর্শন করতে গিয়ে হিন্দুয়ানী প্রণামকে প্রথা হিসেবে নিয়ে আসা মুমিনদের বৈশিষ্ট্য নয়।

ইয়া আল্লাহ,দয়া করে আমাদের তুমি সুন্নাত তরীকায় বিবাহ করার তওফিক দিয়।     আমিন।
                                                                      source......Quraneralo
                              রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে





সংকলন: মো: আব্দুল কাদের | সম্পাদক: আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া


তাওবা হলো অতীতের গুনাহের অনুশোচনা, দুনিয়ার কোন উপকারিতা অর্জন অথবা ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্য নয় একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার জন্যই সার্বক্ষণিকভাবে সে গুনাহ ছেড়ে দেওয়ার উপর দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করা। জবরদস্তির মাধ্যমে নয় বরং শরী‘আতের বিধি-নিষেধ তার উপর বহাল থাকবে ততক্ষণ স্বেচ্ছায় এ প্রতিজ্ঞা করবে। ইবাদতসমূহের মধ্যে তাওবা অতি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। তাওবার আবশ্যকীয়তা, ব্যাপকতা ও তাতে নিয়মানুবর্তিতার পরিমণ্ডল থেকে পাপী-তাপী যেমন বহির্ভূত নয়, তেমনি আল্লাহর ওলীগণ ও নবীগণও তার পরিসীমা থেকে বাইরে নন। এটি সর্বাবস্থায় সর্বত্র সকলের জন্য প্রযোজ্য। তাওবা মানুষের জীবনের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
তাওবার পরিচয়
তাওবা (توبة) শব্দের তা (تا) বর্ণে যবর ওয়া (واو) বর্ণে সুকুন যোগে গঠিত হয়। আভিধানিক অর্থ পাপ থেকে ফিরে আসা, প্রত্যাবর্তন করা, প্রত্যাগমন করা ইত্যাদি। বিশেষ পদে অর্থ অনুতাপ, অনুশোচনা। ড. মুহাম্মদ  ড. হামিদ সাদিক বলেন:
প্রশ্নঃ রাসুলুল্লাহ (সাঃ) নূরের তৈরী নাকি মাটির তৈরী ?

আদম (আঃ) ছিলেন মাটির তৈরী আর ফেরেশতারা ছিলেন নূরের তৈরী। মাটির তৈরী আদম (আঃ) কে সিজদা করেছিলেন নূরের তৈরী ফেরেশতারা। এখন যারা নবী (সাঃ) কে নূরের তৈরী দাবী করে এরা আসলে নবী (সাঃ) এর সাথে বেয়াদবী করে কুফুরী করে ।

কারণ আল্লাহ্‌ আমাদের মাটি থেকে তৈরী করে যে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন তা তারা অস্বীকার করে। এছাড়া এটা কুফুরী আকীদা এই কারণে যে, এটা কুরানের আয়াতকে অস্বীকার করা হয়, কারণ আল্লাহ্‌ কুরানুল কারীমে বলেছেন,“(হে নবী) আপনি বলুনঃ আমি ও তোমাদের মতই একজন মানুষ।”
সুরা আল-কাহফ, আয়াত ১১০

আর মানুষকে আল্লাহ্‌ কি থেকে সৃষ্টি করেছেন সেটা উল্লেখ করেছেন,
“যখন আপনার পালনকর্তা ফেরেশতাগণকে বললেন, আমি মাটি দ্বারা মানুষ সৃষ্টি করব।”
সুরা সোয়াদ, আয়াত ৭১

সুতরাং কুরান দ্বারা প্রমানিত হলো, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) মানুষ ছিলেন তবে মানুষ হলেও তিনি আল্লাহর রাসুল ছিলেন যার কারণে তাঁর মর্যাদা অনেক উপরে। আর যেহেতু তিনি নবী হওয়ার সাথে সাথে একজন মানুষও ছিলেন আর সমস্ত মানুষকে আল্লাহ্‌ সৃষ্টি করেছেন মাটি থেকে তাই নবী (সাঃ) ও মাটির তৈরী মানুষ ছিলেন।



সবাই শেয়ার করুন, কবর পূজারীদের বিরুদ্ধে মানুষকে সতর্ক করুন।
                                       source...আল হামদুলিল্লাহ ( Alhamdulillah ) facebook.
Design by Md.Sahahdad Hossain | Published by ZASJSS - মুসলিম উম্মার ঐক্য |