আল কুরআন সূরা আল হাশর (24)
নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে যা কিছু আছে, সবই আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করে। তিনি পরাক্রমশালী মহাজ্ঞানী।
আল কুরআন সূরা আল বাক্বারাহ (43)
আর নামায কায়েম কর, যাকাত দান কর এবং নামাযে অবনত হও তাদের সাথে, যারা অবনত হয়।
সহীহ মুসলিম
হযরত আমর বিন আবাসা (রা) হতে বর্ণিত, আমি রাসূল্লাহ (সা) কে জিজ্ঞেস কেরিছলাম, ঈমান কি? জবাবে তিন বেললেন, ছবর (ধৈর্য ও সহনশীলতা) এবং ছামাহাত (দানশীলতা, নমনীয়তা ও উদারতা) হচ্ছে ঈমান।
আল কুরআন (সূরা আল-বাকারা: ২-৪)
সেইসব মুত্তাকীর জন্য হেদায়েত (পথ নির্দেশ), যারা অদৃশ্যে ঈমান আনে, নামায কায়েম করে এবং আমি তাদেরকে যে রিযিক দিয়েছি তা থেকে খরচ করে। আর(হে নবী) আপনার প্রতি যা নাযিল হয়েছে ও আপনার পূর্বে (নবীদের প্রতি) যা নাযিল হয়েছিলো তাতেও ঈমান আনে ও পরকালে যারা দৃঢ় বিশ্বাস রাখে।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
সকল প্রশংসা আল্লাহ্ তা’আলার জন্য এবং সালাম ও আল্লাহর রহমত বর্ষিত হোক প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর উপর।
আমরা যারা নিয়মিত সালাত আদায় করার চেষ্টা করি, আমাদের সবগুলো সালাত ঠিক থাকলেও ‘ফজরের সালাত’ নিয়ে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হয়। অনেকেই অনেক চেষ্টা করেও পারি না ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠতে। কীভাবে করা যায় এ সমস্যার সমাধান? আমি শুধু দু’ একদিনের কথা বলছি না, বলছি প্রতিদিনকার কথা। আসুন জেনে নেই এ ব্যাপারে কিছু কার্যকরী কৌশল।
প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
রহমান রহীম আল্লাহ্ তায়ালার নামে
মহান আল্লাহ বলেনঃ হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সত্যনিষ্ঠ লোকদের সাথে থাকো। (সূরা তওবাঃ ১১৯)
- মহান আল্লাহ আরো বলেনঃ সত্যনিষ্ঠ পুরুষ ও নারীগণ! ......... আল্লাহ তাদের জন্য মার্জনা ও বিরাট পুরস্কার তৈরি করে রেখেছেন। (সূরা আহযাবঃ ৩৫)
- মহান আল্লাহ আরো বলেনঃ তারা যদি আল্লাহর নিকট অঙ্গীকারে সত্যতার প্রমাণ দিতো, তাহলে তাদের জন্য কতই না ভাল হতো! (সূরা মুহাম্মাদঃ ২১)
রহমান রহীম আল্লাহ্ তায়ালার নামে
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আমরা আল্লাহর বান্দা। এটি সবার জানা। কিন্তু বান্দা শব্দটির সম্পর্কে কি আমরা কখনো চিন্তা-ভাবনা করেছি, যে এই শব্দটির মর্মার্থ কি? এর দ্বারা কি বুঝায়? বান্দা ফারসী শব্দ যার আরবী হচ্ছে ‘আব্দ’ অর্থাৎ দাস। তাই আমরা সকলে ইবাদুল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহর বান্দা সকল। বান্দা বা দাসের কাজ হচ্ছে তার মালিকের দাসত্ব করা, গোলামী করা। মালিকের নিকট সেই দাসই সর্ব্বোৎকৃষ্ট, যে তার মালিকের সত্যিকারার্থে দাসত্ব করে, গোলামী করে। কিন্তু তাঁর অনেক বান্দা এমনও আছে যারা আল্লাহর দাসত্ব করে না, করতেও চায়না । দাসত্ব করা যে বান্দাদের কর্তব্য তা বিশ্বাস করে না। অথচ
রহমান রহীম আল্লাহ্ তায়ালার নামে-
إن الحمد لله والصلاة والسلام على رسول الله وعلى آله وصحبه أجمعين، أما بعد
নিয়তের অর্থঃ
নিয়ত আরবী শব্দ। এর বাংলা অর্থঃ ইচ্ছা করা, মনস্ত করা, এরাদা করা, সংকল্প করা। (মুনজিদ, ৮৪৯/ ফতহুল বারী, ১/১৭)শব্দটি আমরা বাংলাভাষী লোকেরাও ব্যবহার করে থাকি। যেমন আমরা বলি: আমি এ বছর হজ্জ করার নিয়ত করেছি। অর্থাৎ ইচ্ছা করেছি মনস্থ করেছি।
নিয়তের গুরুত্বঃ
শরীয়তে নিয়তের গুরুত্ব অপরিসীম। ব্যক্তির আমল আল্লাহর নিকট গ্রহণীয় হয়না যতক্ষণে বান্দা তার নিয়ত সঠিক না করে নেয়। অর্থাৎ , আল্লাহর জন্যে তাঁর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে না করে নেয়। আল্লাহ বলেনঃوَتَوَكَّلْ عَلَى الْحَيِّ الَّذِي لَا يَمُوتُ
রহমান রহীম আল্লাহ্ তায়ালার নামে-
إِنَّ الْمُبَذِّرِينَ كَانُوا إِخْوَانَ الشَّيَاطِينِ ۖ وَكَانَ الشَّيْطَانُ لِرَبِّهِ كَفُورًا
তাওবার পরিচয়
তাওবা (توبة) শব্দের তা (تا) বর্ণে যবর ওয়া (واو) বর্ণে সুকুন যোগে গঠিত হয়। আভিধানিক অর্থ পাপ থেকে ফিরে আসা, প্রত্যাবর্তন করা, প্রত্যাগমন করা ইত্যাদি। বিশেষ পদে অর্থ অনুতাপ, অনুশোচনা। ড. মুহাম্মদ ড. হামিদ সাদিক বলেন:
প্রশ্নঃ রাসুলুল্লাহ (সাঃ) নূরের তৈরী নাকি মাটির তৈরী ?
আদম (আঃ) ছিলেন মাটির তৈরী আর ফেরেশতারা ছিলেন নূরের তৈরী। মাটির তৈরী আদম
(আঃ) কে সিজদা করেছিলেন নূরের তৈরী ফেরেশতারা। এখন যারা নবী (সাঃ) কে
নূরের তৈরী দাবী করে এরা আসলে নবী (সাঃ) এর সাথে বেয়াদবী করে কুফুরী করে ।
কারণ আল্লাহ্ আমাদের মাটি থেকে তৈরী করে যে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন তা তারা
অস্বীকার করে। এছাড়া এটা কুফুরী আকীদা এই কারণে যে, এটা কুরানের আয়াতকে
অস্বীকার করা হয়, কারণ আল্লাহ্ কুরানুল কারীমে বলেছেন,“(হে নবী) আপনি
বলুনঃ আমি ও তোমাদের মতই একজন মানুষ।”
সুরা আল-কাহফ, আয়াত ১১০।
আর মানুষকে আল্লাহ্ কি থেকে সৃষ্টি করেছেন সেটা উল্লেখ করেছেন,
“যখন আপনার পালনকর্তা ফেরেশতাগণকে বললেন, আমি মাটি দ্বারা মানুষ সৃষ্টি করব।”
সুরা সোয়াদ, আয়াত ৭১।
সুতরাং কুরান দ্বারা প্রমানিত হলো, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) মানুষ ছিলেন তবে
মানুষ হলেও তিনি আল্লাহর রাসুল ছিলেন যার কারণে তাঁর মর্যাদা অনেক উপরে। আর
যেহেতু তিনি নবী হওয়ার সাথে সাথে একজন মানুষও ছিলেন আর সমস্ত মানুষকে
আল্লাহ্ সৃষ্টি করেছেন মাটি থেকে তাই নবী (সাঃ) ও মাটির তৈরী মানুষ ছিলেন।
সবাই শেয়ার করুন, কবর পূজারীদের বিরুদ্ধে মানুষকে সতর্ক করুন।
source...আল হামদুলিল্লাহ ( Alhamdulillah ) facebook.
২। জুম’আর সালাতের জন্য সুগন্ধি ব্যবহার করা। (বুখারীঃ ৮৮০)
৩। মিস্ওয়াক করা। (ইবনে মাজাহঃ ১০৯৮, বুখারীঃ৮৮৭, ইঃফাঃ৮৪৩)
৪। গায়ে তেল ব্যবহার করা। (বুখারীঃ৮৮৩)
৫। উত্তম পোশাক পরিধান করে জুম’আ আদায় করা। (ইবনে মাজাহঃ১০৯৭)
৬। মুসুল্লীদের ইমামের দিকে মুখ করে বসা। (তিরমিযীঃ৫০৯, ইবনে মাজাহঃ১১৩৬)
৭। মনোযোগ সহ খুৎবা শোনা ও চুপ থাকা- এটা ওয়াজিব। (বুখারীঃ ৯৩৪, মুসলিমঃ৮৫৭, আবু দাউদঃ১১১৩, আহমাদঃ১/২৩০)
লেখকঃ অধ্যাপক মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম
প্রশ্নঃ জুম’আর ফরজের আগে ও পরে কত রাকআত সালাত আদায় করব?
উত্তর- আমরা সকলেই জানি যে, জুম’আর ফরজ হল ২ রাকআত। আর সুন্নাত হল- ফরজের আগে দুই রাকআত (তাহিয়্যাতুল মাসজিদ) এবং পরে চার রাকআত বা দুই রাকআত। আর বাইরে ফরজের আগে অতিরিক্ত নির্দিষ্ট সংখ্যক কোন সালাত নেই। তএ দুই দুই রাকআত করে যে যত রাকআত ইচ্ছা নফল হিসেবে আদায় করতে পারে। উল্লেখ্য যে, প্রচলিত কাবলাল জুম’আ শিরোনামে চার রাকআত বিশিষ্ট কোন সালাত সহীহ হাদিসে পাওয়া যায় না। খুৎবার আগে এক সালামে চার রাকআত আদায়ের পক্ষে দলীল হিসাবে আনীত হাদিসটির সনদ খুবই দুর্বল যা গ্রহণযোগ্য নয়। তবে কমপক্ষে দুই রাকআত ‘তাহিয়্যাতুল মাসজিদ’ সালাত পড়তেই হবে। এমনকি ইমাম সাহেবের খুৎবা চলাকালীন সময়ে মসজিদে প্রবেশ করলেও। তবে যারা আগে থেকেই দুই রাকআত তাহিয়্যাতুল মাসজিদ সালাত আদায় করে বসে আছেন, তারা খুৎবার সময় কোন নামাজ
লেখকঃ অধ্যাপক মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম
জুম’আর নামাজের ফযীলত ও তা আদায়কারীদের জন্য ঘোষিত পুরষ্কার-
১। কুরবানী করার সমান সওয়াব অর্জিত হয়ঃ
দিনে আগে ভাগে মসজিদে গেলে দান-খয়রাত বা পশু কুরবানী করার সমতুল্য সওয়াব পাওয়া যায়। আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণিত এক হাদীসে রাসুল (সাঃ) বলেছেন,“যে ব্যাক্তি জু’আর দিন ফরজ গোসলের মত গোসল করে প্রথম দিকে মসজিদে হাজির হয়, সে যেন একটি উট কুরবানী করল, দ্বিতীয় সময়ে যে ব্যাক্তি মসজিদে প্রবেশ করে সে যেন একটি গরু কুরবানী করল, তৃতীয় সময়ে যে ব্যাক্তি মসজিদে প্রবেশ করল সে যেন একটি ছাগল কুরবানী করল। অতঃপর চতুর্থ সময়ে যে ব্যাক্তি মসজিদে গেল সে যেন একটি মুরগী কুরবানী করল। আর পঞ্চম সময়ে যে ব্যাক্তি মসজিদে প্রবেশ করল সে যেন একটি ডিম কুরবানী করল। অতঃপর ইমাম যখন বেরিয়ে এসে মিম্বরে বসে গেলেন খুৎবার জন্য, তখন ফেরেশতারা লেখা বন্ধ করে খুৎবা শুনতে বসে যায়।” (বুখারীঃ ৮৮১, ইফা ৮৩৭, আধুনিক ৮৩০)
ঈমানদার যুবক ও আছহাবুল উখদূদের কাহিনী
হযরত সুহায়েব (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে জে, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ বহুকাল পূর্বে একজন রাজা ছিলেন। সেই রাজার ছিল একজন যাদুকর। ঐ যাদুকর বৃদ্ধ হ’লে একদিন সে রাজাকে বলল, ‘আমি তো বৃদ্ধ হয়ে গেছি এবং আমার মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে এসেছে। সুতরাং আমার নিকট একটি ছেলে পাঠান, যাকে আমি ভালভাবে যাদুবিদ্যা শিক্ষা দিব’। বাদশাহ তার নিকট একটি বালককে পাঠিয়ে দিলেন। তিনি তাকে যাদুবিদ্যা শিক্ষা দিতে লাগলেন। বালকটি যাদুকরের নিকট যে পথ দিয়ে যাতায়াত করত, সে পথে ছিল এক সন্ন্যাসীর আস্তানা। সন্ন্যাসী ঐখানে বসে কখনো ইবাদাত করতেন, আবার কখনো লোকদের নিকট ওয়াজ-নসিহাত করতেন। বালকটিও পথের পাসে দাঁড়িয়ে তার ওয়াজ নসীহত শুনত। ফলে যাদুকরের নিকট পৌছাতে বালকটির দেরী হ’ত বলে যাদুকর তাকে প্রহার করত। বালকটি সন্ন্যাসীর নিকট এ কথা জানালে তিনি বালককে শিখিয়ে দেন যে, তুমি যদি যাদুকর কে ভয় কর তাহ’লে বলবে, বাড়ীর লোকজন আমাকে পাঠাতে বিলম্ব করেছে এবং বাড়ীর লোকজনকে ভয় পেলে বলবে, যাদুকরই আমাকে ছুটি দিতে বিলম্ব করেছে।বালকটি এভাবে একদিকে যাদু বিদ্যা অন্যদিকে ধর্মীয় বিদ্যা শিক্ষা করতে লাগলো।
আশরাফুল মাখলুকাত মানব জাতির কল্যাণে প্রেরিত মানব জাতির বিধান সমূহ প্রচার ও প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আল্লাহ স্বীয় অনুগ্রহে আদম (আঃ) থেকে মুহাম্মাদ (সাঃ) যুগে যুগে যে অসংখ্য নবী রাসূল প্রেরন করেছেন তাদের মধ্য থেকে মাত্র ২৫ জন নবীর নাম আল্লাহ পবিত্র কুরআনে গুরুত্ত্বের সাথে উল্ল্যেখ করেছেন এবং সত্যের পথে তাঁদের দৃঢ়চিত্ত্ব সংগ্রামের হৃদয়গ্রাহী সংগ্রামের বর্ণনা করে মানবতার সামনে সত্য ন্যায় ও সুন্দরের অনুপম মানদণ্ড উপস্থাপন করেছেন। এসব কাহিনী কেবল চিত্ত বিনোদনের খোরাক নয়, বরং এক অবিরাম বিচ্ছুরিত আলোকধারা, যার প্রতিটি কণায় বিকশিত হয় মানবতার সর্বোচ্চ নমুনা। নবী ও রাসূলগণের জীবনালেখ্য জানা ও তা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা আমাদের মুসলমানদের অপরিহার্য কর্তব্য। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি বাংলাদেশে ের বস্তুনিষ্ঠ ইতিহাস খুবই দুর্লভ।
ভূমিকা:
মোহাম্মদ মানজুরে ইলাহী
সংক্ষিপ্ত বর্ণনাঃ ইসলামে হাদিস বা হাদিস শাস্ত্র বলা হয় সেই জ্ঞান সম্পর্কে যার সাহায্যে রাসুল্লাহ (সঃ) এর কথা, কাজ, ইত্যাদি সম্পর্কে অগ্রগতি লাভ করা যায়। যে কাজ তার উপস্থিতিতে সম্পাদন করা হয়েছে, কিন্তু তিনি তা নিষেধ করেননি, এমন কাজও হাদিসের অন্তর্ভুক্ত। হাদিস শাস্ত্র দুই ভাগে বিভক্ত। এক ইলমে রওয়ায়েতুল হাদিস, দুই ইলমে দেবায়াতুল হাদিস। মুহাদ্দিসগন হাদিসের বিশুদ্ধতা নির্ধারনে যে বিশ্বস্তত ও আমানতদারীর পরিচয় দিয়েছেন, তা অতুলনীয়। কুরআন মজীদের বিশুদ্ধতা রক্ষার জন্য সাহাবায়ে কিরাম যেরুপ সতর্কতা অবলম্বন করেছেন হাদিসের ক্ষেত্রেও অনেক মুহাদ্দিস তাই করেছেন। এ ব্যাপারে মুসলিম উম্মাহ প্রচুর দায়িত্ব বোধের পরিচয় দিয়েছে।
লেখকঃ আবু আহমাদ সাইফুদ্দীন বেলাল
মহাগ্রন্থ আল-কুরআন আমাদের প্রতি আলাহর পক্ষ থেকে একটি পবিত্র বড় আমানত। কিছু মুফাসসীরগণের মতে, আকাশ, পৃথিবী ও পর্বতমালা এই প্রবিত্র মহাআমানত বহন করতে অপরগতা স্বীকার করে। বাবা আদম (আ:) জান্নাতে থাকা অবস্থায় মহান আমানতের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। আলাহ তা‘য়ালা আদম (আ:)-এর সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান সর্বশেষ নবী ও রসূল মুহাম্মদ (সা:)-এর প্রতি সর্বশেষ কিতাব রমজানের লাইলাতুল কদরে অবতীর্ণ করেন। দীর্ঘ ২৩ বছরে পূর্ণ কুরআনের নাজিল সম্পন্ন হয়। কিয়ামত পর্যন্ত কুরআন অপরিবর্তিত ও অবিকৃত থাকবে; কারণ আলাহ তা‘য়ালা তাঁর কিতাবের হেফাজতের দায়িত্ব নিজেই গ্রহণ করেছেন।
আল-কুরআন কিয়ামতের দিন তার পাঠকদের জন্য আল্লাহর দরবারে সুপারিশ করবে। আর যারা এ কিতাবকে ত্যাগ করবে তথা পাঠ করবে না, এর উপর আমল ও এ দ্বারা বিচার ফয়সালা এবং মেনে চলবে না তারা কিয়ামতের মাঠে কুরআন ত্যাগকারী বলে বিবেচিত হবে তখন তাদের বাঁচার উপায় কি হবে???!!!
উত্তরঃ ডাঃ জাকির নায়েকঃ
লাইলাতুল ক্বদরের নির্দিষ্ট তারিখ সম্পর্কে চল্লিশটিরও বেশি মতামত পাওয়া যায়। কেউ বলেন রমাদ্বানের প্রথম রাত, কেউ বলেন সপ্তম রাত আবার কেউ বলেন রমাদ্বানের উনিশতম রাত। কিন্তু এই ব্যাপারে সবচেয় সঠিক মত হলো রমাদ্বানের শেষ দশ দিনের কোনো এক বিজোড় রাত্রিতে।
এ ব্যাপারে হাদীসে বলা হয়েছে যে, “রমাদ্বান মাসের শেষ দশ দিনের বিজোড় রাত্রিগুলোতে লাইলাতুল কদর তালাশ করো।”
(সহীহ আল-বুখারী, হাদীস ২০১৭)
অপর হাদীসে বলা হয়েছে যে, উবাই বিন কা’ব হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, “লাইলাতুল ক্বদর সম্ভবত রমাদ্বানের ২৭তম রাতে। কারণ ঐ রাতে মুহাম্মাদ [ﷺ] আমাদের নামাজে দাঁড়াতে বলতেন।
(সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৩৬৪)
আরো বলা হয়েছে যে, “লাইলাতুল ক্বদর রমাদ্বান মাসের ২১,২৩,২৫,২৭ এবং রমযানের শেষ রাতে খোজ করো।”
(সুনান আত-তিরমিযী, হাদীস ৭৯৪)
রসূল [ﷺ] রমাদ্বানের শেষ দিনে লাইলাতুল কদর খোজ করতেন।
(সহীহ আল-বুখারী, হাদীস ২০২০)
অপর হাদীসে আছে, “রমাদ্বানের শেষ দশ রাতে লাইলাতুল কদর খোজ করো। তবে যদি অপরাগ হও তাহলে শেষ রাতে খোজ করো।”
(সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৬২১)
আরো বলা হয়েছে যে, “লাইলাতুল কদর রমযানের শেষ সাত দিনের ভিতর রয়েছে।”
(সহীহ আল-বুখারী, হাদীস ২০১৫)
সুতরাং এসব আলোচনা হতে আমরা জানতে পারলাম যে লাইলাতুল কদর রমযানের শেষ দশ দিনের কোনো এক রাতে।
এই কারণে অধিকাংশ আলিমগণ বলেন যে, লাইলাতুল কদরের নির্দিষ্ট তারিখ কেউ জানে না, তবে এটা রমযান মাসের শেষ দশ দিনের কোন এক বিজোড় রাতে এবং সম্ভবত ২৭ রমাদ্বানের রাতে কিন্তু নির্দিষ্ট তারিখ বাতলে দিতে পারে নি।
পর্ব ২
ইসলাম বিনষ্টকারী বস্তু সমূহ
ইসলামকে বিনষ্ট করে এমন বস্তু দশটি :- এক : আল্লাহর ইবাদাতে কাউকে শরিক বা অংশীদার করা। আল্লাহ বলেন:
“নিশ্চয়ই আল্লাহ ইবাদাতে তার সাথে কাউকে শরিক বা অংশীদার মানাকে ক্ষমা করবেন না, এছাড়া যা কিছু আছে তা যাকে ইচ্ছা করেন ক্ষমা করবেন”। [সূরা আন্-নিসা: ১১৬]
আরও বলেন :
“নিশ্চয়ই যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করে তার উপর আল্লাহ তা‘আলা জান্নাত হারাম করে দিয়েছেন, তার আবাস হবে জাহান্নামে, আর অত্যাচারী (শির্ককারী)-দের কোন সাহায্যকারী নেই”। [সূরা আল-মায়েদা: ৭২]
পর্ব - ১
- সংকলন : আব্দুল্লাহ আল কারআবী
- অনুবাদক : আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
- সম্পাদক : মোহাম্মদ মানজুরে ইলাহী
- প্রকাশনায় : ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
তিনটি মূলনীতি
যা জানা প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর উপর একান্ত কর্তব্যমূলনীতিগুলো হলো : প্রত্যেকে
- ১) রব বা পালন কর্তা সম্পর্কে জানা।
- ২) দীন সম্পর্কে জানা।
- ৩) নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে জানা।
রব কে জানার পদ্ধতি :
যদি প্রশ্ন করা হয়, তোমার রব বা পালনকর্তা কে?তখন উত্তরে বলবে: আমার রব হলেন আল্লাহ, যিনি আমাকে এবং সমস্ত সৃষ্টি জগতকে তার অনুগ্রহে লালন করছেন, তিনিই আমার একমাত্র উপাস্য, তিনি ব্যতীত আমার অপর কোন মা’বুদ বা উপাস্য নেই।
২. বাংলা অনুবাদ (ইচ্ছে করলে যেকোনো ভাষার অনুবাদ সংযুক্ত করতে পারবেন)
৩. কুরআনের তিলাওয়াত (তিলাওয়াত চলাকালে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অনুবাদসহ আয়াত আসতে থাকবে; আপনার পছন্দমতো ক্বারীর তিলাওয়াত সংযুক্ত করে শুনতে পারবেন)
৪. সবচে মজার ব্যাপার হলো, বাংলায় সার্চ সুবিধা । আপনি ইচ্ছে করলেই যেকোনো শব্দ এখানে সার্চ দিতে পারবেন এবং সার্চকৃত শব্দটি পবিত্র কুরআনের কোন কোন জায়গায় রয়েছে, তার একটি লিস্ট পেয়ে যাবেন !
ফাইল সাইজ : 7.70 MB
লাইসেন্স : ফ্রি
রিকয়্যারমেন্ট : জাভা রানটাইম ইনভায়রনমেন্ট , উইন্ডোজ ।
ফন্ট : বাংলা ইউনিকোড/ Vrinda / সোলায়মান লিপি । ( বাংলা অনুবাদের জন্য )
ভাষা : বহু ভাষা ।
২. এই লিংক এ ক্লিক করে বাংলা অনুবাদের ফাইলটি (bn.bengali.trans) সরাসরি ডাউনলোড করুন।
তর্জমাটি মাওলানা মুহিউদ্দীন খানের করা, যিনি মারেফুল কোরআন (বাদশাহ-ফাহাদের পৃষ্ঠপোষকতায় সৌদি সরকার কর্তৃক হাজীদের সরবরাহকৃত বিখ্যাত তাফসির) এর অনুবাদক ।
৩. আপনার পিসিতে সোলায়মান লিপি বা যেকোন ইউনিকোড বাংলা ফন্ট ইন্সটল থাকতে হবে । না থাকলে এখান থেকে ডাউনলোড করে নিন । তারপর কন্ট্রোল প্যানেল থেকে ফন্ট ফোল্ডারে পেস্ট করুন ।
৪. সফটওয়্যারটি চালাতে জাভা রানটাইম ইনভায়রনমেন্ট দরকার । পিসিতে জাভা না থাকলে এখান থেকে ডাউনলোড করে ইন্সটল করে নিন । কিছুটা সময় লাগবে ।
৫. এবার সফটওয়্যারটি চালু করে নিচের পদ্ধতি অনুসরণ করুন । প্রথমে Tools>Add>Translation এ ক্লিক করুন ।
৬. বাংলা অনুবাদের muhiuddinkhan.trans.zip ফাইলটি হার্ডডিস্ক থেকে সিলেক্ট করে Open এ ক্লিক করুন ।
৭. Me only রেডিও বাটনে টিক দিয়ে OK করুন ।
৮. কনর্ফামেশন মেসেজ আসবে OK করুন ।
৯. এবার View > Translation > [bn] মাওলানা মুহিউদ্দীন খান এ ক্লিক করুন । বাংলা আসবে ।