রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-

লেখকঃ আবু আহমাদ সাইফুদ্দীন বেলাল 
মহাগ্রন্থ আল-কুরআন আমাদের প্রতি আলাহর পক্ষ থেকে একটি পবিত্র বড় আমানত। কিছু মুফাসসীরগণের মতে, আকাশ, পৃথিবী ও পর্বতমালা এই প্রবিত্র মহাআমানত বহন করতে অপরগতা স্বীকার করে। বাবা আদম (আ:) জান্নাতে থাকা অবস্থায় মহান আমানতের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। আলাহ তা‘য়ালা আদম (আ:)-এর সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান সর্বশেষ নবী ও রসূল মুহাম্মদ (সা:)-এর প্রতি সর্বশেষ কিতাব রমজানের লাইলাতুল কদরে অবতীর্ণ করেন। দীর্ঘ ২৩ বছরে পূর্ণ কুরআনের নাজিল সম্পন্ন হয়। কিয়ামত পর্যন্ত কুরআন অপরিবর্তিত ও অবিকৃত থাকবে; কারণ আলাহ তা‘য়ালা তাঁর কিতাবের হেফাজতের দায়িত্ব নিজেই গ্রহণ করেছেন।
আল-কুরআন কিয়ামতের দিন তার পাঠকদের জন্য আল্লাহর দরবারে সুপারিশ করবে। আর যারা এ কিতাবকে ত্যাগ করবে তথা পাঠ করবে না, এর উপর আমল ও এ দ্বারা বিচার ফয়সালা এবং মেনে চলবে না তারা কিয়ামতের মাঠে কুরআন ত্যাগকারী বলে বিবেচিত হবে তখন তাদের বাঁচার উপায় কি হবে???!!!

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যে মারা গেল, অথচ তার সিয়াম রয়েছে, তার অভিভাবক তার পক্ষ থেকে সওম রাখবে”।[বুখারি: (১৮৫১), মুসলিম: (১১৪৭)]
সংক্ষিপ্ত বর্ণনা: এ ফতওয়াটিতে কাফেরদেরকে ইসলামের দিকে দাওয়াত না দেয়াতে মুসলিমদের গুনাহ হবে কিনা সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। 
সংযোজন তারিখ: 2013-06-24
শর্ট লিংক: http://IslamHouse.com/430737
:: এই শিরোনামটি বিষয় অনুসারে নিম্নের ক্যাটাগরিগুলোতে বিন্যস্ত ::
এই ‘বিষয় পরিচিতি’টি নিম্নোক্ত ভাষায় অনূদিত:: আরবী

বিষয়ের সংযুক্তিসমূহ ( 2 )
1.

কাফেরদেরকে ইসলামের প্রতি দাওয়াত না দিলে কি মুসলিমরা অপরাধী হবে?
237.7 KB
: কাফেরদেরকে ইসলামের প্রতি দাওয়াত না দিলে কি মুসলিমরা অপরাধী হবে?.pdf

কাফেরদেরকে ইসলামের প্রতি দাওয়াত না দিলে কি মুসলিমরা অপরাধী হবে?
2.5 MB
: কাফেরদেরকে ইসলামের প্রতি দাওয়াত না দিলে কি মুসলিমরা অপরাধী হবে?.doc
প্রশ্নঃ কোনটি লাইলাতুল কদরের রাত?

উত্তরঃ ডাঃ জাকির নায়েকঃ

লাইলাতুল ক্বদরের নির্দিষ্ট তারিখ সম্পর্কে চল্লিশটিরও বেশি মতামত পাওয়া যায়। কেউ বলেন রমাদ্বানের প্রথম রাত, কেউ বলেন সপ্তম রাত আবার কেউ বলেন রমাদ্বানের উনিশতম রাত। কিন্তু এই ব্যাপারে সবচেয় সঠিক মত হলো রমাদ্বানের শেষ দশ দিনের কোনো এক বিজোড় রাত্রিতে।

এ ব্যাপারে হাদীসে বলা হয়েছে যে, “রমাদ্বান মাসের শেষ দশ দিনের বিজোড় রাত্রিগুলোতে লাইলাতুল কদর তালাশ করো।”

(সহীহ আল-বুখারী, হাদীস ২০১৭)

অপর হাদীসে বলা হয়েছে যে, উবাই বিন কা’ব হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, “লাইলাতুল ক্বদর সম্ভবত রমাদ্বানের ২৭তম রাতে। কারণ ঐ রাতে মুহাম্মাদ [ﷺ] আমাদের নামাজে দাঁড়াতে বলতেন।

(সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৩৬৪)


আরো বলা হয়েছে যে, “লাইলাতুল ক্বদর রমাদ্বান মাসের ২১,২৩,২৫,২৭ এবং রমযানের শেষ রাতে খোজ করো।”

(সুনান আত-তিরমিযী, হাদীস ৭৯৪)


রসূল [ﷺ] রমাদ্বানের শেষ দিনে লাইলাতুল কদর খোজ করতেন।

(সহীহ আল-বুখারী, হাদীস ২০২০)


অপর হাদীসে আছে, “রমাদ্বানের শেষ দশ রাতে লাইলাতুল কদর খোজ করো। তবে যদি অপরাগ হও তাহলে শেষ রাতে খোজ করো।”

(সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৬২১)

আরো বলা হয়েছে যে, “লাইলাতুল কদর রমযানের শেষ সাত দিনের ভিতর রয়েছে।”

(সহীহ আল-বুখারী, হাদীস ২০১৫)

সুতরাং এসব আলোচনা হতে আমরা জানতে পারলাম যে লাইলাতুল কদর রমযানের শেষ দশ দিনের কোনো এক রাতে।

এই কারণে অধিকাংশ আলিমগণ বলেন যে, লাইলাতুল কদরের নির্দিষ্ট তারিখ কেউ জানে না, তবে এটা রমযান মাসের শেষ দশ দিনের কোন এক বিজোড় রাতে এবং সম্ভবত ২৭ রমাদ্বানের রাতে কিন্তু নির্দিষ্ট তারিখ বাতলে দিতে পারে নি।
Design by Md.Sahahdad Hossain | Published by ZASJSS - মুসলিম উম্মার ঐক্য |