প্রশ্নঃ কোনটি লাইলাতুল কদরের রাত?

উত্তরঃ ডাঃ জাকির নায়েকঃ

লাইলাতুল ক্বদরের নির্দিষ্ট তারিখ সম্পর্কে চল্লিশটিরও বেশি মতামত পাওয়া যায়। কেউ বলেন রমাদ্বানের প্রথম রাত, কেউ বলেন সপ্তম রাত আবার কেউ বলেন রমাদ্বানের উনিশতম রাত। কিন্তু এই ব্যাপারে সবচেয় সঠিক মত হলো রমাদ্বানের শেষ দশ দিনের কোনো এক বিজোড় রাত্রিতে।

এ ব্যাপারে হাদীসে বলা হয়েছে যে, “রমাদ্বান মাসের শেষ দশ দিনের বিজোড় রাত্রিগুলোতে লাইলাতুল কদর তালাশ করো।”

(সহীহ আল-বুখারী, হাদীস ২০১৭)

অপর হাদীসে বলা হয়েছে যে, উবাই বিন কা’ব হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, “লাইলাতুল ক্বদর সম্ভবত রমাদ্বানের ২৭তম রাতে। কারণ ঐ রাতে মুহাম্মাদ [ﷺ] আমাদের নামাজে দাঁড়াতে বলতেন।

(সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৩৬৪)


আরো বলা হয়েছে যে, “লাইলাতুল ক্বদর রমাদ্বান মাসের ২১,২৩,২৫,২৭ এবং রমযানের শেষ রাতে খোজ করো।”

(সুনান আত-তিরমিযী, হাদীস ৭৯৪)


রসূল [ﷺ] রমাদ্বানের শেষ দিনে লাইলাতুল কদর খোজ করতেন।

(সহীহ আল-বুখারী, হাদীস ২০২০)


অপর হাদীসে আছে, “রমাদ্বানের শেষ দশ রাতে লাইলাতুল কদর খোজ করো। তবে যদি অপরাগ হও তাহলে শেষ রাতে খোজ করো।”

(সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৬২১)

আরো বলা হয়েছে যে, “লাইলাতুল কদর রমযানের শেষ সাত দিনের ভিতর রয়েছে।”

(সহীহ আল-বুখারী, হাদীস ২০১৫)

সুতরাং এসব আলোচনা হতে আমরা জানতে পারলাম যে লাইলাতুল কদর রমযানের শেষ দশ দিনের কোনো এক রাতে।

এই কারণে অধিকাংশ আলিমগণ বলেন যে, লাইলাতুল কদরের নির্দিষ্ট তারিখ কেউ জানে না, তবে এটা রমযান মাসের শেষ দশ দিনের কোন এক বিজোড় রাতে এবং সম্ভবত ২৭ রমাদ্বানের রাতে কিন্তু নির্দিষ্ট তারিখ বাতলে দিতে পারে নি।

রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-



পর্ব ২


ইসলাম বিনষ্টকারী বস্তু সমূহ

ইসলামকে বিনষ্ট করে এমন বস্তু দশটি :

  • এক : আল্লাহর ইবাদাতে কাউকে শরিক বা অংশীদার করা। আল্লাহ বলেন:
    “নিশ্চয়ই আল্লাহ ইবাদাতে তার সাথে কাউকে শরিক বা অংশীদার মানাকে ক্ষমা করবেন না, এছাড়া যা কিছু আছে তা যাকে ইচ্ছা করেন ক্ষমা করবেন”। [সূরা আন্‌-নিসা: ১১৬]
    আরও বলেন :
    “নিশ্চয়ই যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করে তার উপর আল্লাহ তা‘আলা জান্নাত হারাম করে দিয়েছেন, তার আবাস হবে জাহান্নামে, আর অত্যাচারী (শির্ককারী)-দের কোন সাহায্যকারী নেই”। [সূরা আল-মায়েদা: ৭২]
প্রবন্ধটি পড়া হলে, শেয়ার করতে ভুলবেন না


রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-


পর্ব - ১

  • সংকলন : আব্দুল্লাহ আল কারআবী
  • অনুবাদক : আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
  • সম্পাদক : মোহাম্মদ মানজুরে ইলাহী
  • প্রকাশনায় : ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

তিনটি মূলনীতি

যা জানা প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর উপর একান্ত কর্তব্য
মূলনীতিগুলো হলো : প্রত্যেকে
  • ১) রব বা পালন কর্তা সম্পর্কে জানা।
  • ২) দীন সম্পর্কে জানা।
  • ৩) নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে জানা।

রব কে জানার পদ্ধতি :

যদি প্রশ্ন করা হয়, তোমার রব বা পালনকর্তা কে?
তখন উত্তরে বলবে: আমার রব হলেন আল্লাহ, যিনি আমাকে এবং সমস্ত সৃষ্টি জগতকে তার অনুগ্রহে লালন করছেন, তিনিই আমার একমাত্র উপাস্য, তিনি ব্যতীত আমার অপর কোন মা’বুদ বা উপাস্য নেই।

নবী করিম (সঃ) যেভাবে সালাত আদায় করেছেন ঠিক সেভাবে সালাত আদায় করাই সঠিক পদ্ধতি । রাসূল (সঃ) যেভাবে সালাত আদায় করেছেন সহীহ হাদিসের আলোকে নিচের বইটিতে আলোচনা করা 

হয়েছে । সংক্ষিপ্ত বর্ণনা :  সালাত আদায়ের পদ্ধতি : লেখক এ কিতাব সম্পর্কে বলেন: “এ বইয়ে আমি তাকবির থেকে আরম্ভ করে সালাম পর্যন্ত সালাত আদায়ের সঠিক পদ্ধতি সংক্ষিপ্তভাবে কুরআন ও হাদিসের আলোকে বর্ণনা করেছি”।




এখান থেকেও ডাউনলোড করতে পারবেন ( 2 )



বইটি সংগ্রহ করা হয়েছে ইসলাম হাউস.কম থেকে
Design by Md.Sahahdad Hossain | Published by ZASJSS - মুসলিম উম্মার ঐক্য |