মসজিদে (দুনিয়াবী) কথাবার্তা নেকিকে এমন ভাবে খতম করে, যেমন পশু ঘাস খেয়ে খতম করে ফেলে ।

এটিও একটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন উক্তি । এটার কোন ভিত্তিই নেই ।
-গিযাউল আলবাব শরহু মানযূমাতিল আদাবঃ 2/257-আল মাসনূঃ 93(টীকা)
যে ব্যক্তি মসজিদে দুনিয়াবী কথাবার্তা বলবে আল্লাহ তা’লা তার চল্লিশ বছরের নেক আমল বরবাদ করে দিবেন ।

এটি লোকমুখে হাদীস হিসেবে প্রসিদ্ধ হলেও প্রকৃত পক্ষে তা রাসূলুল্লাহ(সঃ) এর হাদীস নয় ।

আল্লামা সাগানী (রহঃ) রিসালাতুল মাওযূআতঃ পৃষ্টা 5, আল্লামা কাউকজী (রহঃ) আল লুউলুউল মারসূঃ পৃষ্টা 78-এ একে জাল বলে উল্লেখ 
করেছেন ।
আযান দেওয়ার সময় এবং আযান শ্রবণের সময় দুনিয়াবী কোন কথা বললে চল্লিশ বছরের নেকী নষ্ট হয়ে যায় ।

এ কথাও ঠিক নয় এবং তা রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর হাদীস নয় । -যাইলুল মাকাসিদিল হাসানা

সহীহ হাদীসের আলোকে আযানের সময় শ্রোতাদের দায়িত্ব পূর্বে সংক্ষেপে আলোচনা করা হয়েছে । সে মোতাবেক আমলে যত্নবান হওয়ায় উচিত ।


                           من تكلم عند الاذان خيف عليه زوال الإيمان    


যে ব্যক্তি আযানের সময় কথা বলবে তার ঈমান চলে যাওয়ার আশংকা রয়েছে ।

আযানের সময় নিয়ম হল আযানের জবাব দেওয়া । মুআযযিন যে শব্দগুলো বলবে, শ্রোতারাও সে শব্দগুলোই বলবে । তবে حي على الصلاة(হায়্যা আলাসসালাহ) এবং حي على الفلاح (হায়্যা আলাল ফালাহ) বলার পর শ্রেতারা (লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ) পড়বে । অবশেষে আযানের এ দুয়া পাঠ করবেঃ

اللهم رَبَّ هَذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ وَالصَّلاَةِ القَائِمَةِ آتِ مُحَمَّداً الْوَسِيْلَةَ وَ الفَضِيْلَةَ وَابْعَثْهُ مَقَامًا مَحْمُوْداً الَّذِيْ وَعَدْتَهُ

হে আল্লাহ্এই পরিপূর্ণ আহবান এবং এই প্রতিষ্ঠিত নামাযের তুমিই প্রভূ। মুহাম্মাদ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম)কে দান কর সর্বোচ্চ সম্মানিত স্থান এবং সুমহান মর্যাদা। তাঁকে প্রতিষ্ঠিত কর প্রশংসিত স্থানে যার অঙ্গিকার তুমি তাঁকে দিয়েছো।

এগুলো সবই সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত ।তবে ‘আযানের সময় কথা বললে ঈমান চলে যাওয়ার আশংকা রয়েছে’ এ কথাটি হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয় ।
-আল্লামা সাগানী (রহঃ) একে জাল বলেছেন । রিসালাতুল মাওযূআতঃ 12,কাশফুল খাফাঃ 2/226, 240
Design by Md.Sahahdad Hossain | Published by ZASJSS - মুসলিম উম্মার ঐক্য |