Showing posts with label islamic e-book. Show all posts
Showing posts with label islamic e-book. Show all posts

  ইসলামী বই


বাজারে বিভিন্ন দোয়ার বই পাওয়া যায়, কিন্তু বেশীরভাগ সময়েই দেখা যায় তাতে বিভিন্ন মনগড়া আমল এবং কবিদের রচিত কবিতা দোয়া হিসেবে দেয়া থাকে। এসব দোয়া পড়লে সোয়াব তো হবেই না বরং বিদআত করার গুনায় লিপ্ত হতে হবে। তাই অনেক খুজে এই দোয়ার বইটি পেলাম যাতে শুধুমাত্র পবিত্র কুরআন ও হাদীসে উল্লেখিত দোয়াগুলোই সঙ্কলন করা হয়েছে।
এই চমৎকার দোয়ার বইটির নাম “হিসনুল মুসলিম” মূল লেখকঃ শাইখ সাঈদ ইবনে আলী আল-কাহতানি। অনুবাদ করেছেন মোঃ এনামুল হক (মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়)। সম্পাদনা করেছেন মোঃ রকীবুদ্দীন হুসাইন। ইসলামী গবেষণা ও ফতোয়া অধিদপ্তর, রিয়াদ থেকে প্রকাশিত হয়েছে। বইটিতে মূল আরবীর সাথে সাথে প্রতিটি দোয়ার বাংলা অর্থও দেয়া হয়েছে।
আমাদের প্রিয় মুসলিম ভাই ও বোনদের সুবিধার জন্য বইটির ডাউনলোড লিঙ্ক দিয়ে দিলাম।

দোয়ার বইটি ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন

Hisnul Muslim (4MB)

অনুবাদ করেছেনঃ  প্রফেসর ডঃ মুহাম্মাদ মুজিবুর রহমান

প্রকাশনাঃ  দারুসসালাম পাবলিকেশন্স , সৌদি আরব


সূরা 'আল ক্বামার' মক্কায় অবতীর্ণ ক্বুরানের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূরা। আল্লাহ তা’আলা এই সূরায় একটি বিশেষ আয়াত চার বার উল্লেখ করেছেন। সে বিশেষ আয়াতটির অর্থ হচ্ছে, 'অবশ্যই আমি শিক্ষা গ্রহণ করার জন্যে ক্বুরানকে সহজ করে দিয়েছি, অতএব আছে কি তোমাদের মাঝে কেউ এর থেকে শিক্ষা গ্রহণ করার?'
আল কুর’আন সম্পুর্ণ মানব্জাতির জন্য পথপ্রদর্শক স্বরূপ যার মাঝে আপনিও অন্তর্ভুক্ত, প্রিয় বন্ধু। যেহেতু আমরা কেউই পথভ্রষ্ট হতে চাইনা, তাই এটা আমাদের জন্য অপরিহার্য যে আমরা কুর’আন সুধু তিলাওয়াতই করবনা বরং তা বুঝব এবং সেইসাথে নিজেদের জীবনে প্রয়োগ করব।
রাসূল -সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম-আমাদেরকে শ্রেষ্ঠ হবার একটি সহজ পদ্ধতি শিখিয়ে গেছেনঃ
তোমাদের মাঝে শ্রেষ্ঠ হল যে নিজে কুর’আন শিখে এবং অন্যকে শেখায়। (আল-বুখারী)
অতএব, আসুন, কুর’আন নিজে শিখুন এবং অন্যকে শিখান, নিজেকে শ্রেষ্ঠ মুসলিমদের একজন হিসেবে গড়ে তুলুন ইনশাআল্লাহ।

সংক্ষিপ্ত বর্ণনাঃ সৌদি আরবের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান দারুসসালাম এর প্রকাশ করেছে এই কুরআনুল কারীম। এ তরজমা দারুসসালামের দীর্ঘদিনের আশা আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন।এ মহৎ কাজে এগিয়ে এসে বাংলাদেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর ডঃ মুহাম্মাদ মুজিবুর রহমান অনুবাদ করেছেন ।  এই তরজমার বিশেষত্ব হচ্ছেঃ
  • বইটি তরজমায় ত্রুটি বিচ্যুতির ব্যপারে গবেষক মন্ডলীর পরামর্শ নেয়া হয়েছে।
  • তাফসীর ইবনে কাসীর থেকে তরজমার অংশটি নেয়া হয়েছে।
  • এই কুরআনে ডান দিকে বড় অক্ষরে আরবি (persian script) লেখা হয়েছে, বাম দিকে বাংলা সহজ সরল অনুবাদ, এবং নিচে আয়াতের ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।
  • কুরাআনের অর্থ অনুধাবনের জন্য প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সহীহ হাদিসের অনুবাদের মাধ্যমের টীকা সংযোজন করা হয়েছে।অধিকাংশ হাদীস সহীহ বুখারী থেকে নেয়া হয়েছে। মূল আরবি গ্রন্থ থেকে এই হাদীস সমূহ অনুবাদ করা হয়েছে।
  • বাংলা ভাষাভাষী সকল পর্যায়ে মুসলমান ভাইদের কুরআন বুঝে পড়ার আগ্রহের দিকে লক্ষ রেখে তরজমা সহজ, প্রাঞ্জল ও বোধগম্য করআর চেষ্টা করা হয়েছে, যাতে তিলাওয়াতের সাথে সাথে কুরআন মাজিদের অর্থও বুঝতে পারেন।
স্ক্যান কৃত এই কুরআনটি পড়ার জন্য আপনার কম্পিউটারে Adobe Reader সফটওয়্যারটি থাকা আবশ্যক। আগে থেকে তা না থাকলে এখান থেকে ডাউনলোড করে নিন।

Download/ডাউনলোড [26.6 MB] 

ডাউনলোড - [HQ Version - সব রিডার দিয়ে ওপেন করার জন্য] 

 Download from 4shared
Download from MediaFire

                                                        (সূ্ত্র): কোরআনের আলো.কম


আমাদের দেশে ইসলামী ইলম চর্চার ইতিহাস অনেক পুরোনো । কুরআন ও হাদীসের বঙ্গানুবাদও হয়েছে প্রায় দু’শো বছর । আমাদের দেশে অনেক গুলো প্রকাশনী সিয়াহ সিত্তাহ সহ আরো অনেক হাদীস সংকলন গ্রন্থ প্রকাশ করেছে । কিন্তু সব প্রকাশনীর প্রকাশনার মান এক রকম নয় । তাই আপনারা সব থেকে সেরা হাদীস গ্রন্থ সহীহুল বুখারীর বঙ্গানুবাদ কোন প্রকাশনী থেকে কিনবেন তার একটা পরামর্শ আপনাদের দিতে চাই ।
আমি সহীহুল বুখারীর খন্ড গুলি মোট তিনটি প্রকাশনী থেকে সংগ্রহ করেছি । এগুলো হচ্ছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ , আধুনিক প্রকাশনী ও তাওহীদ পাবলিকেশন্স ।এ তিনটির প্রকাশনার ভেতরে আমার তুলনামূলক তাওহীদ পাবলিকেশন্স এর প্রকাশনা বেশি ভাল লেগেছে । তাই আমি আপনাদের ওই প্রকাশনীর সহীহুল বুখারীর বঙ্গানুবাদ সংগ্রহ করার জন্য অনুরোধ করবো । তাওহীদ পাবলিকেশন্স এর প্রকাশনার বিশেষ বৈশিষ্ট্যগুলি এর ভূমিকা থেকে কিছু অংশ আমি এখানে তুলে ধরছিঃ
“আমাদের দেশে বাংলা ভাষায় হাদীস অনুবাদের কাজ যদিও বহু পূর্বেই শুরু হয়েছে তবুও বাংলা ভাষায় হাদীস চর্চায় আমরা পিছিয়ে । ফলে এখনও আমরা সহীহ হাদীস বাদ দিয়ে হাদীসের ব্যাপারে অশিক্ষিত অনভিজ্ঞ নামধারী কতিপয় আলিমদের মনগড়া ফাতাওয়ার উপর আমল করতে গিয়ে আমাদের আমলের ক্ষতি সাধন করছি । আর সাথে সাথে সহীহ হাদীস থেকে দূরে সরে গিয়ে আমরা তাকলীদের পথে পা বাড়াতে বাধ্য হচ্ছি ।
আমাদের দেশে যারা এ সকল সহীহ হাদীস গ্রন্থের অনুবাদ প্রকাশ করছেন তাদের অনেকেই আবার হাদীসের অনুবাদে সহীহ হাদীসের বিপরীতে মাযহাবী মতামতকে অগ্রাধিকার দিতে গিয়ে অনুবাদে গড়মিল ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন ।নমুনা স্বরুপ মূল বুখারীতে ইমাম বুখারী কিতাবুস সাওমের পরে কিতাবুত তারাবীহ নামক একটি পর্ব রচনা করেছেন । অথচ ভারতীয় মূদ্রণের মধ্যে …………… (?) কিতাবুত তারাবীহ কথাটি মুছে দিয়ে সেখানে কিয়ামুল লাইল বসানো হয়েছে । অবশ্য প্রকাশক পৃষ্ঠার একপাশে কিতাবুত তারাবীহ লিখে রেখেছেন । ….. (আরবী) ।     সকলেই এ ব্যাপারে একমত যে , এ অধ্যায় দ্বারা সলাতুত তারাবীহ উদ্দেশ্য । আর মিশর ও মধ্যপ্রাচ্য হতে প্রকাশিত সকল বুখারীতে কিতাবুত তারাবীহ বহাল তবিয়তে আছে , যা ছিল ইমাম বুখারীর সংকলিত মূল বুখারীতে ।
আর একটি প্রকাশনী জানি না ইচ্ছাকৃত ভাবে না অনিচ্ছাকৃত ভাবে এই কিতাবুত তারাবীহ নামটি ছেড়ে দিয়ে তৎসংশ্লিষ্ট হাদীস গুলোকে কিতাবুস সাওমে ঢুকিয়ে দিয়েছেন । অনেক স্থানে ইচ্ছাকৃত ভাবে ভুল অনুবাদ করেছেন । অনেক স্থানে অধ্যায়ের নাম পরিবর্তন করে ফেলেছেন । কোথাও বা মূল হাদীসকে অনুচ্ছেদে ঢুকিয়ে দিয়ে বুঝাতে চেয়েছেন যে , এটা হাদীসের মূল সংকলকের ব্যক্তিগত কথা বা মত । কোথাও বা সহীহ হাদীসের বিপরীতে মাযহাবী মাসআলা সম্বলিত লম্বা লম্বা টিকা লিখে সহীহ হাদীসকে ধামাচাপা দেয়ার ব্যর্থ চেষ্টায় লিপ্ত হয়েছেন । এতে করে সাধারণরা পড়ে গিয়েছেন বিভ্রান্তির মধ্যে । কারণ টিকা গুলো এমনভাবে লেখা হয়েছে যে , সাধারণ পাঠক মনে করবেন টিকাতে যা লেখা হয়েছে সেটাই ঠিক ; আসল তথ্য উদঘাটন করতে তারা ব্যর্থ হচ্ছেন । আরেক একজন শাইখুল হাদীসের বুখারীর অনুবাদের কথাতো বলার অপেক্ষাই রাখে না । তিনি বুখারীর অনুবাদ করেছেন না প্রতিবাদ করেছেন তা আমাদের বুঝে আসেনা । কারণ তিনি অনুবাদের চেয়ে প্রতিবাদমূলক টিকা লিখাকে বেশী প্রাধান্য দিয়েছেন , যা মূল কিতাবের সাথে একেবারেই সম্পর্কহীন । যে কোন হাদীস গ্রন্থের অনুবাদ করার অধিকার সবার জন্য উন্মুক্ত । কিন্তু সহীহ হাদীসের বিপরীতে অনুবাদে , ব্যাখ্যায় হাদীস বিরোধী কথা বলা জঘন্য অপরাধ ।
এই প্রথমবারের মত আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হাদীস নম্বর ও অন্যান্য বহুবিধ বৈশিষ্ট্যসহ সহীহুল বুখারীর বঙ্গানুবাদ প্রকাশিত হল । শুধু তাই নয় , বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে এই প্রকাশনার মধ্যে যা এ পর্যন্ত প্রকাশিত সহীহুল বুখারীর বঙ্গানুবাদে পাওয়া যাবে না । এর মধ্যে উল্লেখ যোগ্য কয়েকটি বৈশিষ্ট্য হলো :
. আল-মু’জামুল মুফাহরাস লি আলফাযিল হাদীস হচ্ছে একটি বিষ্ময়কর হাদীস – অভিধান গ্রন্থ । গ্রন্থটিতে আরবি বর্ণমালার ধারা অনুযায়ী কুতুবুত ‍তিস’আহ ( বুখারী , মুসলিম , তিরমিযী , আবু দাউদ , নাসাঈ , ইবনু মাজাহ , মুসনাদ আহমাদ , মুওয়াত্তা ইমাম মালিক , দারেমী ) নয়টি হাদীস গ্রন্থের শব্দ আনা হয়েছে । যে কোন শব্দের পাশে সেটি কোন কোন হাদীস গ্রন্থে এবং কোন পর্বে বা কোন অধ্যায়ে আছে তা উল্লেখ রয়েছে ।
আমাদের দেশে এ গ্রন্থটি অতটা পরিচিতি লাভ না করলেও বিজ্ঞ আলিমগণ এটির সাথে খুবই পরিচিত । বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদীস বিভাগের ছাত্র শিক্ষক সবার নিকট বেশ সমাদৃত । অত্র গ্রন্থের হাদীস গুলো আল মু’জামুল মুফাহরাসের ক্রমধারা অনুযায়ী সাজানো হয়েছে । যার ফলে অন্যান্য প্রকাশনার হাদীসের নম্বরের সাথে এর নম্বরের মিল পাওয়া যাবে না । আর এর সর্বমোট হাদীস সংখ্যা হবে ৭৫৬৩ টি । আধুনিক প্রকাশনীর হাদীস সংখ্যা হচ্ছে ৭০৪২ টি । আর ইসলামিক ফাউন্ডেশনের হাদীস সংখ্যা হচ্ছে ৬৯৪০ টি ।
. যে সব হাদীস একাধিকবার উল্লেখ হয়েছে অথবা হাদীসের অংশ বিশেষের সংগে মিল রয়েছে সেগুলোর প্রতিটি হাদীসের শেষে পূর্বোল্লিখিত ও পরোল্লিখিত হাদীসের নম্বর যোগ করা হয়েছে । যার ফলে একটি হাদীস বুখারীর কত জায়গায় উল্লেখ আছে বা সে বিষয়ের হাদীস কত জায়গায় রয়েছে তা সহজেই জানা যাবে । আর একই বিষয়ের উপর যাঁরা হাদীস অনুসন্ধান করবেন তাঁরা খুব সহজেই বিষয়ভিত্তিক হাদীস গুলো বের করতে পারবেন । যেমন ১০০১ নং হাদীস শেষে বন্ধনীর মধ্যে রয়েছে :  ( ১০০২ , ১০০৩ , ১৩০০ , ২৮০১ , ২৮১৪ , ৩৯৬৪ , ৩১৭০ , ৪০৮৮ , ৪০৮৯ , ৪০৯০ , ৪০৯১ , ৪০৯২ ,৪০৯৪ , ৪০৯৫ , ৪০৯৬ , ৬৩৯৪ , ৭৩৪১ ) বন্ধনীর হাদীস নম্বর গুলোর মধ্যে ১০০১ নং হাদীসে উল্লিখিত বিষয়ে আংশিক বা পূর্ণাঙ্গ আলোচনা পাওয়া যাবে ।
৩. বুখারীর কোন হাদীসের সঙ্গে সহীহ মুসলিমের কোন হাদীসের মিল থাকলে মুসলিমের পর্ব অধ্যায় ও হাদীস নম্বর প্রতিটি হাদীসের শেষে উল্লেখ করা হয়েছে । যেমন ১০০১ নং হাদীস শেষে বন্ধনীর মধ্যে রয়েছে : ( মুসলিম ৫/৫৪ হা/৬৭৭ ) অর্থাৎ পর্ব নং ৫ , অধ্যায় নং ৫৪ , হাদীস নং ৬৭৭   সহীহ মুসলিমের হাদীসের যে নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে তা মু’জামুল মুফাহরাসের নম্বর তথা ফুয়াদ আব্দুল বাকী নির্ণিত নম্বরের সঙ্গে মিলবে ।
. বুখারীর কোন হাদীস যদি মুসনাদ আহমাদের সঙ্গে মিলে তাহলে মুসনাদ আহমাদের হাদীস নম্বর সেই হাদীসের শেষে যোগ করা হয়েছে । যেমন ১০০১ নং হাদীস শেষে বন্ধনীর মধ্যে রয়েছে : ( আহমাদ ১৩৬০২ ) এটির নম্বর এহইয়াউত তুরাস আল-ইসলামীর নম্বরের সঙ্গে মিলবে ।
৫. আমাদের দেশে মুদ্রিত ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও আধুনিক প্রকাশনীর হাদীসের ক্রমিক নম্বরে অমিল রয়েছে । তাই প্রতিটি হাদীসের শেষে বন্ধনীর মাধ্যমে সে দুটি প্রকাশনার হাদীস নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে । যেমন ১০০১ নং হাদীস শেষে বন্ধনীর মধ্যে রয়েছে : ( আ.প্র.৯৪২ ই.ফা.৯৪৭ ) অর্থাৎ আধুনিক প্রকাশনীর হাদীস নং ৯৪২ , আর ইসলামিক ফাউন্ডেশনের হাদীস নং ৯৪৭ ।
. প্রতিটি অধ্যায়ের ( অনুচ্ছেদ ) ক্রমিক নং এর সঙ্গে কিতারে ( পর্ব ) নম্বরও যুক্ত থাকবে যার ফলে সহজেই বোঝা যাবে এটি কত নম্বর কিতাবের কত নম্বর অধ্যায় । যেমন ১০০১ নং হাদীসের পূর্বে একটি অনুচ্ছেদ রয়েছে যার নম্বর ১৪/৭ অধ্যায় : অর্থাৎ ১৪ নং পর্বের ৭ নং অধ্যায় ।
৭. যারা সহীহ বুখারীর অনুবাদ করতে গিয়ে সহীহ হাদীসকে ধামাচাপা দিয়ে যঈফ হাদীসকে প্রাধান্য দেয়ার জন্য বা মাযহাবী অন্ধ তাকলীদের কারণে লম্বা লম্বা টিকা লিখেছেন তাদের সে টিকার দলীল ভিত্তিক জবাব দেয়া হয়েছে ।
. আরবী নামের বিকৃত বাংলা উচ্চারণ রোধকল্পে প্রায় প্রতিটি আরবী শব্দের বিশুদ্ধ বাংলা উচ্চারণের চেষ্টা করা হয়েছে । যেমন : আয়েশা এর পরিবর্তে ‘আয়িশাহ্ , জুম্মা এর পরিবর্তে জুমু‘আহ্ , নবী এর পরিবর্তে নাবী , রাসূল এর পরিবর্তে রসূল , ম্ক্কা এর পরিবর্তে মাক্কাহ , ইবনে এর পরিবর্তে ইবনু , উম্মে সালমা এর পরিবর্তে উম্মু সালামাহ্ , নামায এর পরিবর্তে সলাত ইত্যাদি ইত্যাদি প্রচলিত বানানে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে ।
. সাধারণের পাশাপাশি আলিমগণও যেন এর থেকে উপকৃত হতে পারেন সে জন্য অধ্যায় ভিত্তিক বাংলা সূচি নির্দেশিকার পাশাপাশি আরবী সূচি উল্লেখ করা হয়েছে ।
১০. বুখারীর কত জায়গায় কুরআনের আয়াত এসেছে এমনকি আয়াতের একটি শব্দ আসলেও সেটির সূরার নাম , আয়াত নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে ।
১১. ইনশাআল্লাহ সমৃদ্ধ অধ্যায় ভিত্তিক সূচি নির্দেশিকা সহ প্রতিটি খন্ডে থাকবে সংক্ষিপ্ত পর্বভিত্তিক বিশেষ সূচি নির্দেশিকা । এতে কোন পর্বে কতটি অধ্যায় ও কতটি হাদীস রয়েছে তা সংক্ষিপ্তভাবে জানা যাবে ।
১২. হাদীসে কুদসী চিহ্নিত করে হাদীসের নম্বর উল্লেখ ।
১৩. মুতাওয়াতির ১৪. মারফু’ ১৫. মাওকুফ ও ১৬. মাকতু হাদীস নির্দেশিকা প্রণয়ন করা হয়েছে । ফলে সে হাদীস গুলোকে সহজেই চিহ্নিত করা যাবে ।
১৭. প্রতিটি খন্ডের শেষে পরবর্তি খন্ডের কিতাব/পর্বভিত্তিক সূচি নির্দেশিকা উল্লেখ করা হয়েছে ।”
শুধু সহীহ বুখারী নয় যে কোন হাদীস গ্রন্থই তাওহীদ পাবলিকেশন্স থেকে কেনার জন্য আমার সু-পরামর্শ থাকলো । কারণ বুখারী মুসলিম ছাড়া অন্যান্য হাদীস গন্থে কিছু কিছু জাল ও যঈফ হাদীসও রয়েছে । যেগুলোর উপর আমল করা নিষিদ্ধ । একমাত্র তাওহীদ পাবলিকেশন্সই বিখ্যাত মুহাদ্দিস আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী (রহঃ) এর তাহক্বীক্ব করা হাদীস গন্থ এর অনুবাদ প্রকাশ করেছে । যার উদাহরণ আপনারা যারা তাহক্বীক্ব রিয়াদুস সালেহীন ডাউনলোড করেছেন QuranerAlo.com থেকে তারা বুঝতে পারবেন ।আশা করি কুরআনের আলো .কম তাওহীদ পাবলিকেশন্স এর অন্যান্য হাদীস গ্রন্থ এবং সহীহ আক্বীদা এবং আমলের গ্রন্থও ভবিষ্যতে উপহার দিবে ।
আল্লাহ আমাদের যঈফ ও জাল হাদীস থেকে বাঁচার এবং সহীহ হাদীসের উপর সঠিকভাবে আমল করার তাওফীক দান করুন – আমীন ।

তাওহীদ প্রেস এন্ড  পাবলিকেশন্স
৯০, হাজী আবদুল্লাহ সরকার লেন, বংশাল, ঢাকা- ১১০০
ফোনঃ ০২৭১১২৭৬২, ০১১৯০৩৬৮২৭২, ০১৭১১৬৪৬৩৯৬, ০১৬১১৬৪৬৩৯৬

                                                                        (সূ্ত্র): কোরআনের আলো.কম
ডাঃ জাকির নায়েকের সমালোচনার জবাবে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম লেখা এক প্রমাণ্য গ্রন্থ
 
 
সংক্ষিপ্ত বর্ণনাঃ ডঃ জাকির নায়েক মুসলিম বিশ্বের একজন প্রখ্যাত দায়ী। বিশেষ করে যখন আধুনিক শিক্ষিত নাস্তিক-মুরতাদ ও বিধর্মী আলেমগনগণ ইসলামের বিরুদ্ধে নানান প্রশ্ন ও ভিত্তিহীন অভিযোগ দ্বার করিয়েছিল, সেই মুহুর্তে প্রয়োজন ছিল তাদের মতই শিক্ষায় শিক্ষিত একজন সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি।
এতোদিন ডাঃ জাকির নায়েক শুধু আলোচনার বিষয় থাকলেও এখন আলোচনার পাশাপাশি সমালোচনার বিষয়ও বটে। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় বিভিন্ন ধরনের অসত্য এবং ভিত্তিহীন সমালোচনা করা হচ্ছে। মুসলিম উম্মাহর এই করুন সময়ে আমাদের কি করনীয় এবং ডাঃ জাকির নায়েকের সমালোচনার জবাবে এই প্রথম বই “ডাঃ জাকির নায়েক এবং আমরা” বইটি প্রকাশ করা হল। শত সহস্র ফিতনা ফাসাদের সময়ে যদি কেউ যদি সত্যের ওপর থাকেন, সত্য কথা বলেন তাহলে তো তাঁর বিরোধিতা হবেই। তিনি খ্রিস্টান, হিন্দু ধর্মের  ভুল প্রমান করে দিয়ে উগ্র হিন্দু ও খ্রিস্টান ও মুসলিম নামধারী ধর্ম ব্যবসায়ীদের আক্রশের লক্ষ্য বস্তুতে পরিনত হয়েছেন।
এই বইটিতে যে সব বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছেঃ
  • ডাঃ জাকির নায়েক ও তার কার্যক্রম
  • ডাঃ জাকির নায়েকের ব্যাপারে অভিযোগ সমূহের গতি-প্রকৃতি
  • সমালোচকদের অভিযোগ ও তার জবাব
  • উত্তর দেওয়া হয়েছে যারা বলেন “জাকির নায়েক আলেম নন।” "তিনি পড়াশোনা করেছেন খৃষ্টান মিশনারী ও হিন্দুদের কলেজে" "(কুরান হাদিস নিয়ে অধ্যয়ন করার জন্য একজন অভিজ্ঞ শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে থাকা প্রয়োজন কিন্তু) তার কোন শিক্ষক নেই।" "পর্দার ব্যাপারে ডাঃ জাকির নায়েকের শিথীলতা। তার অনুষ্ঠানে পুরুষ-মহিলাদের অংশগ্রহণ।" “ডাঃ জাকির নায়েকের অপব্যখ্যাঃ প্যান্ট-শার্ট-টাই পড়া জায়েজ”
  • তিনি গায়রে মুকাল্লিদ (আহলে হাদীস) সম্প্রদায়ের লোক হিসাবে এ সম্প্রদায়ের মতাদর্শের প্রছার-প্রশারকে নিজের মানুফেক্ট নির্বাচন করেন
  • বিভ্রান্তি গুলো যেভাবে ছড়ায়।
  • ডাঃ জাকির নায়েক সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।
কোন দল মত এর পক্ষে থেকে নয়, বরং একজন সাধারণ মুসলিম হিসাবে চিন্তা করুন, যে বেক্তি কত সুন্দর ভাবে যুক্তি দিয়ে মানুষকে ইসলামের দিকে দাওয়াত দিচ্ছেন, যে বেক্তি কোটি কোটি মুসলিম কে ইসলাম নিয়ে চিন্তা ভাবনা করার জন্য উৎসাহ প্রদান করেছেন,  বিধর্মীদের কাছে ইসলামদের ভুল ধারণা দূর করেছেন, কত  বিধর্মীদের ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করিয়েছেন এবং যারা তার বিরুদ্ধে বলেছেন তারা কতটূকু ইসলামদের জন্য কাজ করেছেন? তাদের কি অধিকার আছে এই ফেতনা সৃষ্টি করার?  প্রশ্নের উত্তর আপনাদের উপর ছেরে দেওয়া হল।
                                                                                         Download

নামঃ তাহক্বীক রিয়াযুস স্বা-লিহীন | Author: ইমাম নববী (রহ) | 


Riyadus Salehin Bangla













সংক্ষিপ্ত বর্ণনাঃ ইসলামে হাদিস বা হাদিস শাস্ত্র বলা হয় সেই জ্ঞান সম্পর্কে যার সাহায্যে রাসুল্লাহ (সঃ) এর কথা, কাজ, ইত্যাদি সম্পর্কে অগ্রগতি লাভ করা যায়। যে কাজ তার উপস্থিতিতে সম্পাদন করা হয়েছে, কিন্তু তিনি তা নিষেধ করেননি, এমন কাজও হাদিসের অন্তর্ভুক্ত। হাদিস শাস্ত্র দুই ভাগে বিভক্ত। এক ইলমে রওয়ায়েতুল হাদিস, দুই ইলমে দেবায়াতুল হাদিস। মুহাদ্দিসগন হাদিসের বিশুদ্ধতা নির্ধারনে যে বিশ্বস্তত ও আমানতদারীর পরিচয় দিয়েছেন, তা অতুলনীয়। কুরআন মজীদের বিশুদ্ধতা রক্ষার জন্য সাহাবায়ে কিরাম  যেরুপ সতর্কতা অবলম্বন করেছেন হাদিসের ক্ষেত্রেও অনেক মুহাদ্দিস তাই করেছেন। এ ব্যাপারে মুসলিম উম্মাহ প্রচুর দায়িত্ব বোধের পরিচয় দিয়েছে।
মুহাদ্দিসগন হাদিসের বিশুদ্ধতা রক্ষার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা ও সাধনা করেছেন। ইমাম নববী (রহ) এই গ্রন্থের বিষয়ভিত্তিক বিন্যাস সাধনে যে পরিশ্রম ও আন্তরিকতার পরিচয় দিয়েছেন তা আতুলনীয়। তিনি ফিকাহর দৃষ্টিতে হাদিসের বিন্যাস করেছেন এবং প্রতিটি অধ্যায়ের শুরুতে কুরআনের আয়াত উদ্ধৃত করেছেন। এভাবে হাদিসের এই সংকলনকে তিনি সর্বতোভাবে সুন্দর ও সমৃদ্ধ করে তুলেছেন। এর ফলে হাদিসের এই গ্রন্থটি বিপুলভাবে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে এবং পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষায় অনুদিত হয়েছে। ইতিপূর্বে এই গ্রন্থটি অনুদিত হলেও গ্রন্থটিতে কিছু যঈফ হাদিস থাকায় শাইখ নাসিরুদ্দিন আল আলবানি কতৃক তাহক্বীক কৃত গ্রন্থটির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে তাওহীদ পাবলিকেশন্স ঢাকা এই বইটি প্রকাশ  করেছে।

তাহক্বীক রিয়াযুস স্বা-লিহীন গ্রন্থের বিশেষ বৈশিষ্ট্যাবলীঃ

১.  স্পেশাল ফন্টে আরবী ইবারতের পাশাপাশি বাংলা সরল অনুবাদ।
২.  প্রতিটি হাদিসকে ৯টি হাদীসগ্রন্থ (বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী, আবূ দাউদ, নাসাঈ, ইবনু মাজাহ, মুয়াত্তা মালিক, মুসনাদ আহমাদ ও দারেমী )র আলকে তাখরীজ করা হয়েছে।
৩.  প্রতিটি হাদিসের শেষে ৯টি গ্রন্থের যে নাম্বার গুলো দেয়া হয়েছে তাতে পাঠক ও গাবেষকবৃন্দ একই বিষয়ের উপর ৯ টি গ্রন্থের কোথায় কতটি হাদিস আছে তা সহজেই জানতে পারবেন। মূল হাদিসের সাথে সম্পূর্ণ কিংবা আংশিক মিল থাকা হাদিস গুলোর নাম্বার উল্লেখ করেছি। কোন হাদিসগ্রন্থে এক বিষয়ের একাধিক হাদিস থাকলে তার অধিকাংশ পুনরাবৃত্তি নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে।
৪.  গ্রন্থে উল্লেখিত বুখারি ও মুসলিমের হাদিস ব্যাতীত প্রতিটি হাদিস যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস শাইখ নাসিরুদ্দিন আল আলবানীর তাহক্বীক কৃত।
৫.  এ গ্রন্থে আলবানীর তাহক্বীকৃত হাদিস  যেগুলো যঈফ সেগুলোর চারিদিকে সিঙ্গেল বর্ডার দিয়ে আলাদাভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আর ফুটনোটের মাধ্যমে প্রতিটি যঈফ হাদিসের দুর্বল রাবী চিহ্নিত করে এ হাদিস সম্পর্কে  মুহাদ্দিস আলবানির পর্যালোচনা উল্লেখ করা হয়েছে।
৬. যে হাদিস গুলোতে আল্লামা আলবানি (রহ) তার পূর্বের মত থাকে ফিরে অন্য মত প্রকাশ করেছেন। অর্থাৎ প্রথমে যঈফ না বললেও সর্বশেষ তাহক্বীক অনুযায়ী যঈফ বলেছেন সে হাদিস গুলো হচ্ছেঃ ৪৮৮, ১৩৯৩, ১৭২০ নং হাদিস। আর তিনি প্রথম তাহক্বীকে  যঈফ মন্তব্য করলেও পরে তিনি সহীহ আখ্যা দিয়েছেন আমন একটি হাদিস হচ্ছে ১৫০০ নং হাদিস।
৭. প্রতিটি হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর মুখ নিঃসৃত বাণীগুলো বোল্ড বা মোটা অক্ষরে প্রকাশ করা হয়েছে।
৮.  হাদিসের নম্বরের ক্ষেত্রে বুখারীর নম্বর ফাতহুল বারীর নম্বর এর সঙ্গে, মুসলিম ও ইবনু মাজাহ ফুয়াদ আব্দুল বাকীর নম্বরের সঙ্গে, তিরমিযীর নম্বর আহমেদ শাকেরের নম্বরের সঙ্গে, আবু দাউদ মুহাম্মাদ মহিউদ্দিন আব্দুল হামিদের নম্বরের সঙ্গে, মুসনাদ আহমাদ এহইয়াউত তুরাস আল ইসলামীর নম্বরের সঙ্গে, মুয়াত্তা মালিক তার নিজস্ব নম্বরের সঙ্গে, নাসাঈর নম্বর আবু গুদ্দার নম্বরের সঙ্গে মিল রেখে করা হয়েছে।
৯.  প্রতিটি হাদিসে পরিচ্ছেদের বিষয়ের সঙ্গে হাদিসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অংশটুকু অনুবাদে বোল্ড বা মোটা অক্ষরে দেখানো হয়েছে।
১০. মাঝে মাঝে হাদিসের অনুবাদের শেষে অনুবাদক কতৃক ব্যাখ্যা প্রদান করা হয়েছে।
১১. বাংলা সূচীপত্রের পাশাপাশি আরবী সূচীও উল্লেখ করা হয়েছে।
১২. যঈফ হাদিসের একটি আলাদা তালিকা উল্লেখ করা হয়েছে।
বইটির নতুন এই ভার্সনে Interactive Link অ্যাড করা হয়েছে। মানে আপনি যখন সূচীপত্র থেকে কোন বিষয় পড়তে চাবেন, তখন আপনাকে কষ্ট করে বিষয়টা খুঁজতে হবে না। আপনি সুধু বিষয়টির উপর ক্লিক করলেই, আপনাকে সেই বিষয়টি তাৎক্ষণিক দেখানো হবে। আবার বইটির বাম দিকে Bookmark অপশনে ক্লিক করলে, আপনাকে সূচীপত্র দেখাবে। Updated on 2.2.2012.
                                           Download
You will need adobe reader 7.1 or Higher to read this book. You can download it from here . You can download the latest version from here.



Design by Md.Sahahdad Hossain | Published by ZASJSS - মুসলিম উম্মার ঐক্য |